রবিবার, ৩১ মে, ২০১৫

গল্পঃগ্রামের বট গাছের ভূত।

লেখাঃ সজিব খান আর
---------------------

আমি আজ যে ঘটনাটি বলবো
সেটা আমার খুব ক্লোজ বন্ধুর
সাথে ঘটেছিল| ওর নাম
রফিকুল ইসলাম,ছাইকোলা
গ্রাম,
থানা চাটমোহর ,
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি
মাস।এ সময়টাতে অনেক বেশী
কুয়াশা পড়ে| রফিকুল দের
বাড়ি গ্রামের অনেক
ভেতরে|আর ওদের বাড়ি
যাওয়ার পথে মাঝখানে
একটা বটগাছ পড়ে| কয়েক বছর
আগে ওখানে শত বছরের
পুরানো একটা বটগাছ ছিল|
গাছটা এলাকার লোকজন
কেটে ওখানে আর একটি
বটগাছ লাগিয়ে দিয়েছে|
এটাই এখন অনেক বড় হয়ে
গেছে| যে দিনের ঘটনা, সে
দিন রফিকুল বন্ধুদের সাথে
আড্ডা দিতে বাজারে যায়|
আড্ডা দিতে দিতে রাত
হয়ে যায়| রাত আনুমানিক
১১টা ১০টা হবে| শীতের রাত
হওয়াতে কোন ভ্যান রিক্সা
ছিলনা| আর সে রাতে প্রচুর
কুয়াশা পড়েছিল| তো কোন
রিক্সা না পাওয়াতে আকাশ
হেঁটে বাড়ির পথে রওয়ানা
হল| ওর সাথে কেউ ছিল না|
রফিকুল একাই হাঁটছিল|
শীতের
রাত হওয়ায় রাস্তা একদম
ফাঁকা ছিল| আর গ্রামের
মানুষ তাড়াতারি ঘুমিয়ে
পড়ে| রফিকুল যখন বটগাছটার
ঠিক নিচে আসলো তখন ওর
মনে হল কেউ ওর মুখে টর্চের
আলো ধরেছে আর সেই
আলোটা আসছে বটগাছটার
ওপর থেকে| রফিক ভাবলো
কেউ মজা করার জন্য রাতে
গাছে উঠে বসে আছে|
গাছে কে আছে সেটা
দেখার জন্য ও দাড়িয়ে
পড়লো| আলোটা ধীরে
ধীরে ওর মুখ থেকে গা
বেয়ে নিচে নামতে
লাগলো| ঠিক তখন ওর পায়ে
ঠান্ডা কিছুর স্পর্শ অনুভব করল| ও
ওর পায়ের দিকে তাকাতেই
যা দেখতে পেল তার জন্য ও
প্রস্তুত ছিলনা| একটা মেয়ের
লাশ যার পরনে ছিল সাদা
কাপড় মুখটা খোলা ছিল,
মুখের দিকে তাকাতেই ওর
শরীর ভারী হয়ে গেল| কারন
মেয়েটির মুখ ছিল একদম সাদা
আর ভয়ংকর| মেয়েটা ওর পা
শক্ত করে জড়িয়ে ধরে
রেখেছে| ও অনেক চেষ্টা
করেও পা ছাড়াতে
পারছেনা| ওর কাছে ওর
শরীরটা মনে হল কয়েক গুন
ভারী হয়ে গেছে| কিছুতেই
পা ছাড়াতে পারছেনা| ও
অনেক সাহসী ছিল| পা
ছাড়াতে ব্যার্থ হয়ে
অনেকক্ষণ ওই অবস্থায়
দাড়িয়ে থাকলো| কোন
কিছুই যেন মাথায় আসছেনা|
হঠাৎ রফিক আয়াতাল
কুরসির কথা মনে হল| সেটা
পড়তে থাকলো| পড়তে পড়তে
রফিকের মনে হল ওর পা টা
একটু ঢিলা লাগছে| কোনমতে
পা টা ছাড়িয়ে এক দৌড়ে
বাড়িতে চলে আসলো| কিন্তু
বাড়িতে গালি শোনার
ভয়ে আজও বাড়ির কাউকে এ
কথা বলেনি| এ ঘটনার
কয়েকদিন শুধু আমাকেই
বলেছিল|| আর আজ আপনাদের
সাথে শেয়ার করলামা||

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।