রবিবার, ৩১ মে, ২০১৫

বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যা

 বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যা
   লেখকঃ ইমরান আল আতিক

(সম্পুর্ন কাল্পপনিক বাস্তবে কনো মিল নেই, ভয় পেলে আমি কিছু জানি না)
বৃস্টি তে ভিজতে কে না চায় ?
হ্যা সবাই চায় বৃষ্টিতে ভিজতে,, 
আর যদি আপনার পাশে কনো এক ছেলে/মেয়ে এক সাথে হাতে হাত রেখে আকাশের দিকে তাকিয়ে বৃষ্টিপাত মুহুর্তে ভিজছেন কেমন অনুভুতি হবে?
এখন বৃষ্টি পরছে তাই আমার সাথে ঘটে যাওয়া সেদিনের কথা মনে পরে গেলো,,  তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম আমার সাথে ঘটে যাওয়া সেদিনের কাহিনী।
সেদিন ছিলো রবি বার, 
আসে পাসের ১০/১২ টা গ্রামের মানুষ মির্জাপুর হাট নামের যায়গা সবাই চিনেন,
তো একদিন আমাদের পুকুর থেকে মাছ মেরে সেই হাটে বিক্রি করতে গেলাম,  যদিও আমি এসব কখনো করিনি আমার সাথে আমার কাকু গিয়েছিলো,
হাটে মাছ নিয়ে যেতে যেতে দুপুর ২ টা বেজে গেছে,,,  আমাদের বারি থেকে সেখানে যেতে পায়ে হাটতে হয় ঘন্টা খানেক সময়। হাটে গিয়েই মাছ বেচতে শুরু করলাম (আমার জিবনে হাটে যাওয়া প্রথম)
আমি আর কাকু, দুপুর হয়ে যাওয়ায় কাকু আমাকে এক হোটেলে বসিয়ে দিয়ে বল্লো কাকু তুমি খাও আর খাওয়া হলেই,পাশের মন্দিরের গলি ধরে একটু আগালেই আমাকে দেখতে পাবে (মির্জাপুর হাটের মধ্য মন্দির আছে) খাওয়া শেষ,  কাকু আগেই বিল দিয়ে গেসে,, আমি অই পথ ধরে যাচ্ছি, মন্দিরের সামনে গেলাম যখন তখন দেখলাম  এক টা খুব সুন্দরী মেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে,, মনে হচ্ছিলো কত দিনের চেনা,, পাশ থেকে এক কাকু বলছে কিরে বাপ কি দেখছো,,  মন্দির কখনো দেখনি?
বললাম না কাকু দেখেছি কিন্তু অই মেয়েটা কে?
কাকু বলছে কি বলো এই হাটের দিনে মেয়ে পাবে কই? মাথা ঠিক আছে তোমার? 
বললাম অই যে হাসছে আপনার আর আমার কথা শুনে,, 
কাকু বলছে তোমার বাসা কথায় বাপ?
বললাম সেই বরদানগর,,
কাকু বলছে বুঝলাম,, কাকু আর কিছু না বলে আমার মাথায় হাত দিয়ে কি যেনো বির বির করে পড়ে ফু দিয়ে দিলো,, তার পরেই আর আমি সেই মেয়েটিকে দেখতে পেলাম না,,,
তখন বেজে গেছে ৩:৪৫ অচেনা কাকু বলছে তারাতারি বাসায় চলে যেও কেমন,,
বললাম ঠিক আছে,, 
আমি আমার কাকু কে বললাম কাকু কাকু আমি বাসায় চলে যাব, কাকু বলছে মাছ বেচা তো হয়নি,, একা যেতে পারবি?
বললাম হ্যা পারব,, কাকু কে বললাম না মন্দিরের কথা আর অচেনা কাকু তারাতারি বাসায় যেতে বলছে,,
আমি বাসার দিকে রউনা দিলাম তখন ৪:১২ মিনিট,  বাসায় যেতে ১ ঘণ্টি লাগবে,, তারা তারি পা ফেলে চলেছি,,
আমাদের বাসায় যেতে একটা হিন্দুদের শ্মশান ঘাট পরে,, অই শ্মশান ঘাটের কাছে যেতেই বৃষ্টি পরা শুরু হলো,,
কি করবো ভাবছি,,
শ্মশানের ভিতরে একটা ঘর আছে সেখানে গিয়ে উঠলাম,  এদিকে সন্ধ্যা হয়ে আসছে কেউ নেই একা একা দারিয়ে আছি,  কিছুক্ষণ পরে দেখি বৃস্টিতে এক মেয়ে ভিজতেছে,, আমি সেদিকে কিছুক্ষন তাকাতেই,  আমার পিছনে কে যেনো এসে হাজির,  পিছনে তাকাতেই আমি চমকে গেলাম,,
বুকে থুতু দিতে লাগলাম,,
এ যে সেই মেয়েটি,, 
মেয়েটি আমায় বলছে আসো বৃষ্টি তে ভিজি,, আমি বললাম না ভিজব না
মেয়েটি রেগে গিয়ে,,  আমাকে নানান ভাবে ভয় দেখাতে লাগ্লো,, আমি ভয় পাচ্ছিলাম,,
আমার গায়ে হাত দিতেই,  মেয়েটি চিৎকার দিতে দিতে কিছু দূর চলে গেলো,, আমি খুব ভালো করে দেখছিলাম,, দেখি মেয়েটি তার হাত নিজেই খেয়ে ফেলছে,, নিজের কলিজা বের করে ফেলছে,, আর জা পরে দেখলাম, মেয়েটির মাথা  ধর থেকে আলাদা হয়ে গেলো,, মানে গলা কেটে রক্ত বের হতে হতে,,,,,,,
তার পর আমার আর কিছু মনে নেই,
সকালে দেখি আমি বাসায় সুয়ে আছি,,

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।